চাকরি করার ছিল ইচ্ছা, তবে গড়ে তুললেন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা

চাকরি করার ছিল ইচ্ছা, তবে গড়ে তুললেন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা

Nov 21, 2024
953 views

জীবনে সফল হতে গেলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে—এটা আমরা সবাই জানি। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করার পথে কত বাধা আসে, কত অনিশ্চয়তা থাকে, তা আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই। সফল ব্যক্তিদের জীবনগল্পে এই অনিশ্চয়তার চিত্রই সবচেয়ে বেশি উঠে আসে। আজ আমরা এমনই একজনের গল্প বলব, যিনি ছোট্ট একটি আইডিয়া থেকে বিশাল একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন—মার্ক জুকারবার্গ।

জুকারবার্গের জীবন গল্প প্রমাণ করে, নিজের লক্ষ্য নিয়ে ফোকাস থাকলে জীবন যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। অথচ শুরুতে তাঁর লক্ষ্য কিন্তু কোটিপতি হওয়া ছিল না।

ফেসবুকের শুরুর গল্প

২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ হাভার্ড ইউনিভার্সিটির একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলেন। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে বসে তিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কথা ভাবলেন, যেখানে মানুষ একে অপরের সঙ্গে কানেক্ট থাকতে পারবে। সেই ধারণা থেকেই জন্ম নেয় “ফেসবুক”

শুরুর দিকে ফেসবুক শুধুমাত্র হাভার্ড ইউনিভার্সিটির জন্য ছিল। পরে এটি ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। বড় বড় কোম্পানিগুলো জুকারবার্গের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল তাঁর প্রজেক্ট কেনার জন্য। কিন্তু তিনি নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি।

মাইক্রোসফট: ব্যাকআপ প্ল্যান

জুকারবার্গের ফেসবুক ব্যর্থ হলে কী হতো? জুকারবার্গ একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি মাইক্রোসফটে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।” তিনি আরও জানান, যদি ফেসবুক না চলত, তাহলে চাকরি করার মাধ্যমেই তিনি নিজের জীবন নির্বাহ করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

জুকারবার্গ কখনো নিশ্চিত ছিলেন না যে ফেসবুক সফল হবে। কিন্তু তবুও তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। এই অধ্যবসায়ই তাঁকে কোটিপতি করেছে।

প্রেরণার মূল শিক্ষা

জুকারবার্গের গল্প আমাদের শেখায় যে,

  1. লক্ষ্যের প্রতি ফোকাস করুন: স্বপ্ন পূরণে যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
  2. ব্যাকআপ পরিকল্পনা রাখুন: মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে যেন জীবন থেমে না যায়, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  3. নিজেকে বিশ্বাস করুন: জীবনে সফল হতে গেলে নিজের প্রতি আস্থা রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনিও হতে পারেন সফল

জীবনে সফল হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স বা সময় নেই। যে কোনো সময় থেকে শুরু করা যায়, যদি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হয়। জুকারবার্গ শূন্য থেকে শুরু করে আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের একজন। আপনারও জীবনে কিছু করার জন্য শুধু প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, এবং নিজের লক্ষ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা।

সফলতা কখনোই হঠাৎ করে আসে না। এটি ধীরে ধীরে আসে, যখন আপনি নিজের কাজের প্রতি একনিষ্ঠ থাকেন। আপনি যদি নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সত্যিই কাজ করেন, তবে একদিন আপনিও জুকারবার্গের মতো নিজের জীবন পাল্টে দিতে পারবেন।

শেষ কথা:জুকারবার্গ প্রমাণ করেছেন, ব্যর্থতার ভয়কে পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই আজ থেকেই আপনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করুন। মনে রাখবেন, আপনার চেষ্টা একদিন আপনাকে সাফল্যের সিঁড়ি চড়াবে।

Category: