
বিশ্বের ১২০ তম ধনী, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনি হলেন গরিব
শেখ সুলেমান বিন আব্দুলআজিজ আল রাজহি (Sheikh Sulaiman bin Abdulaziz Al Rajhi) একজন সৌদি আরবের প্রখ্যাত কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবসায়ী। ২০১১ সালে তিনি *ফোর্বস* এর তালিকায় বিশ্বের ১২০তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে স্থান পান। তার সম্পদের পরিমাণ তখন প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হয়। তবে এই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও তিনি এমন এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন, যা তাকে ধনীর তালিকা থেকে সরিয়ে গরিবদের কাতারে নিয়ে আসে।
সম্পদ দান করে ধনী থেকে গরিব
২০১১ সালের মে মাসে শেখ সুলেমান ঘোষণা করেন, তিনি তার সম্পদের বেশিরভাগই দান করে দেবেন। এর ফলে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনি ধনীর তালিকা থেকে বেরিয়ে যান। তার এই দানের লক্ষ্য ছিল দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করা।
তিনি তার সম্পদ মূলত দান করেন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে। তার এই সাহসী পদক্ষেপ শুধু সৌদি আরব নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই একটি বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি প্রমাণ করেছেন, সম্পদ থাকা বা না থাকা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়; বরং তা সঠিকভাবে ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে কোনও ডিগ্রি ছিল না
শেখ সুলেমানের জীবন আরও অনুপ্রেরণাদায়ক কারণ তিনি কখনও উচ্চতর শিক্ষালাভ করেননি। তার শিক্ষাজীবন ছিল প্রাথমিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ। তবে তার আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা তাকে একজন সফল উদ্যোক্তা ও ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করে।
তার ব্যবসার মূল কেন্দ্র ছিল *Al Rajhi Bank*, যা আজও সৌদি আরবের অন্যতম বৃহৎ ইসলামিক ব্যাংক। তিনি হালাল পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন এবং ব্যবসায়িক নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন।
শেখ সুলেমানের দৃষ্টিভঙ্গি
তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, অর্থ কোনো মানুষের প্রকৃত মূল্যায়ন করে না। তিনি তার সম্পদ দান করে বলেছিলেন, “আমি এটি আমার ধর্মের জন্য করছি। কারণ আমরা যা অর্জন করি তা আল্লাহর অনুগ্রহ।”
শেখ সুলেমান থেকে নেওয়া শিক্ষা
১. কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব: উচ্চশিক্ষা ছাড়াও তিনি দেখিয়েছেন যে পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় দিয়ে জীবনে সফল হওয়া সম্ভব। ২. সম্পদের সঠিক ব্যবহার: তার দানের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, ধন-সম্পদের প্রকৃত মূল্য তার সামাজিক ও মানবিক ব্যবহারেই নিহিত। ৩. আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত: নিজের সুখ ও বিলাসিতার চেয়ে অন্যের সেবা এবং সাহায্যকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
শেখ সুলেমানের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রকৃত সার্থকতা শুধু ধনী হওয়ার মধ্যে নয়, বরং মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করাতেই। তিনি আজও কোটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা।
Related Blog Posts

সৌদি আরবে ইকামা ট্রান্সফার নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের

Is Really Drone Deployed by Bangladesh on India Border?

চাকরি করার ছিল ইচ্ছা, তবে গড়ে তুললেন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা

Ramadan Efter & Sehri 2023 Calendar Islamic Foundation Bangladesh

e-Passport Fees and Payment Options in Bangladesh

